উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১/০৯/২০২৫ ৯:৩৭ এএম , আপডেট: ০১/০৯/২০২৫ ৯:৫০ এএম
# এনজিও স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের জন‍্য মাথাপিছু বরাদ্দ ২৪০০ টাকা, দেওয়া হয় মাত্র ১ হাজার।
# সোয়া একবছর যাবত এই প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ।
# অনিয়ম প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‌এসিলারেটিং স্কিল ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন (এসেট)’ প্রকল্প দেশের দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ। বিদেশি অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু কক্সবাজারে এনজিও সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি)-এর বিরুদ্ধে এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দে নয়ছয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সু্ত্রগুলো বলছে, সারাদেশে এসেট প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা)। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করছে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্ব ব্যাংক দিচ্ছে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের লোন সহায়তা। ২০২২ সালের জুন থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চলবে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু কক্সবাজারে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা সরাসরি লুটপাট হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের আলীর জাঁহাল, প্রধান সড়কের বিএস টাওয়ারে জেপিটিটিসির অফিস। ব‍্যানার সাইনবোর্ডে বলা হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেড-এ এখানে ভর্তি চলছে। ট্রেড সমূহের মধ্যে রয়েছে, বিউটিফিকেশন (লেভেল-২), কার ড্রাইভিং (লেভেল-৩), টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং (লেভেল ২) (টিডিএম) এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ফর ফ্রিল্যান্সিং (লেভেল-৩)। যেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে, প্রশিক্ষণার্থীদের উপস্থিতি অনুযায়ী ভাতা প্রদান, প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট ও প্রশিক্ষণ শেষে দেশ-বিদেশে চাকুরী দেওয়ার নিশ্চয়তা। লিফলেটে এসব চটকদার তথ‍্য আর সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এসেট প্রকল্প তিন দিন মেয়াদী ‘রিকগনিশন অফ প্রি-অর লার্নিং (আরপিএল)’ বাস্তবায়নের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তার কোনটিই বাস্তবায়ন করেনি জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি)।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনদিনের প্রশিক্ষণে প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ম-অনুযায়ী খাবারসহ সর্বমোট ৩ হাজার টাকা ছাড়াও উন্নতমানের ব্যাগ, প্যাড, পেন্সিল, কলম, এপ্রোণ ইত্যাদি পাওয়ার কথা। তিন দিনে দুপুরের খাবার বাবদ ৬০০ টাকা কেটে প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থীকে ২৪০০ টাকা দেওয়ার কথা।
অথচ অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে দেয়া হয় মাত্র এক হাজার টাকা এবং একটি সার্টিফিকেট। এমনকি ভর্তির সময় অনেক শিক্ষার্থী থেকে উল্টো টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জেপিটিটিসি আরপিএল টিডিএম নামক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন সময় জিপিটিটিসির বিভিন্ন ট্রেডে লার্নার প্রয়োজন দেখিয়ে ম্যাসেজ দেয়া হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারী তারিখে দেওয়া ম্যাসেজে দেখা যায়, ট্রেনিং শেষে ৬ হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হবে এবং যাবতীয় সুযোগ সুবিধার কথাও বলা হয়েছে এতে। একটি পোস্টে সাদিয়া সুলতানা নামের একজন জানতে চান, বেতন কত পড়বে? উত্তরে বলা হয় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু অনেক ট্রেইনারকে দিন-রাত খাঁটিয়ে কাজ আদায় করা হয়। হঠাৎ করে কোন একদিন জানানো হয়, পরদিন থেকেই চাকরি নাই অর্থাৎ অফিসে না আসতে বলে দেয়া হয় -এমন অভিযোগও আছে জেপির বিরুদ্ধে।

তিন দিনের রিকগনিশন অব প্রি-অর লার্নিং (আরপিএল) প্রশিক্ষণে নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে মোট ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ ভাতা ২১০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা ও খাবারের জন্য ৬০০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র এক হাজার টাকা ও একটি সার্টিফিকেট। দুপুরের খাবারের জন্য দৈনিক ২০০ টাকা কেটে নিলেও খাবারের মান ৫০-৬০ টাকার চেয়ে বেশি নয়।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বিনামূল্যের কোর্সে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উল্টো দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, শেষ পর্যন্ত তাদের হাতে এসেছে শুধু একটি কলম, প্যাড, ব্যাগ, সার্টিফিকেট ও এক হাজার টাকা।
তাসনিমা নামের একজন বলেন, ‘কালুর দোকান মহিলা অধিদপ্তরের সিলেকশন অনুযায়ী আমদের কয়েকজনকে লেভেল-২ করার জন‍্য পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে ভর্তির সময় জেপির লোকজন টাকা চেয়েছিলেন, কিন্তু আমরা কোন টাকা দিইনি। তবে অন্যদের ভর্তির সময় টাকা দিতে হয়েছে বলে শুনেছি।’

৬ষ্ঠ ব্যাচে ব্লক বাটিকে ট্রেনিং নিয়েছিলেন আকলিমা। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘তিনদিনের প্রশিক্ষণ শেষে এসেসমেন্ট’র দিন আমাকে একটি সার্টিফিকেট ও এক হাজার টাকা দিয়েছে জেপি। দুপুরের যে খাবার দিয়েছে তাও খুবই নিম্নমানের।’
৫ম ব্যাচে ট্রেনিং নেওয়া আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লেভেল-২ তে ভর্তি হওয়ার সময় দেড় হাজার টাকা করে আমাদের দু’জনকে উল্টো তিন হাজার টাকা দিতে হয়েছে জেপির লোকজনকে। তিনি বলেন, ট্রেনিং শেষে আমাদেরকে একটি কলম, একটি প্যাড, সার্টিফিকেট, ব্যাগ এবং এক হাজার টাকা দিয়েছে।’
ব্যাচ ৫ ‘এ লেভেল- ২ তে অংশ নেওয়া আব্বাস আলী খান বলেন, ‘আমরা দুজনকে ভর্তির সময় ১৫০০ টাকা করে তিন হাজার টাকা দিতে হয়েছে জেপিকে। শেষে প্রত‍্যেককে এক হাজার টাকা, প্যাড, কলম, ব্যাগ, সাটিফিকেট দেওয়া হয়েছে। দুপুরের খাবার ছিল খুবই নিম্নমানের।’
রিমা বড়ুয়া নামের একজন জানান, ‘ব্লক বাটিকের তিন দিনের ক্লাস শেষে পেন্সিল, প্যাড, ব্যাগ, সার্টিফিকেট ও এক হাজার টাকা পেয়েছিলাম।’

শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লক বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্টের উপর একটি ট্রেনিং নিয়েছিলাম। এক হাজার টাকা, ব্যাগ, সার্টিফিকেট পেয়েছিলাম।’
শিউলি নামের একজন জানান, ব্লক বাটিকের উপর ট্রেনিং নিয়েছিলাম। শেষে এক হাজার টাকা দিয়েছিলো। এরকম আরও অনেকের অভিযোগ- দুপুরে খাবারের মান ছিল অত্যন্ত খারাপ।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এসেট প্রজেক্ট থেকে পাওয়া জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের গত সোয়া এক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জেপিতে ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সোয়া এক বছরে ৫টি ট্রেড-এ ৪২ টি ব্যাচে ৮৪০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তার মধ্যে, পুরুষ ২৩২ জন, মহিলা ৬০৮ জন। যেসব ট্রেড’এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ব্লক বাটিক এন্ড স্কিন প্রিন্টিং, ইলেকট্রিক এন্ড হাউজ ওয়ারিং (টিডিএম), হেন্ড স্টিকিং এন্ড এমব্রয়ডারি, হাউজ কিপিং এবং ট্রেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং (ইআইএম)।
শর্ত অনুযায়ী- স্থানীয় বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় কোর্সের ভর্তির বিজ্ঞাপন, মাইকিং করা ছাড়াও (সিবিএলএম) এসেটের লোগোসহ উন্নত মানের ব্যাগ, কলম, এপ্রোণ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার কথা। তবে অভিযোগ উঠেছে, প্রশিক্ষক সম্মানী, ল্যাব/ শপ সহকারী সম্মানী, কোর্স ব্যবস্থাপনা, খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়, বায়োমেট্রিক হাজিরা এসব বাস্তবায়নে কিছুই করেনি জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।

নাম জানাতে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী ট্রেইনার জানান, টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং (টিডিএম) এ ট্রেনিং করেছি। মাসে দু’টি এসেসমেন্ট হতো। প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতো। ১৩ হাজার টাকা বেতন পেতাম। ফ্রী কোর্স বলা হলেও প্রায় সবার কাছ থেকে আগেই টাকা নিয়ে নিতো জেপির লোকজন।শেষ মুহূর্তে সময় নেই ব্যাচ শুরু করে দিতে হবে এমন সময়ে যে কজন প্রশিক্ষণার্থী কম পড়ে যায় কেবল তারাই ফ্রি সুযোগ টা পেত। এই ট্রেইনার বলেন, সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে অফিস ডিউটির কথা থাকলে-ও সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮ টার আগে কখনো বাসায় ফিরতে পারতাম না। পরে তাকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরেকজন ট্রেইনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার অনিয়মে ভরা। কেউ কিছু নিয়ে প্রতিবাদ করলেই চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ ফ্রি ক্লাসের কথা বলা হলেও ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হয়। যাওয়ার সময় ১ এসেসমেন্ট’র এক হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট নিয়ে দায় সারে। জেপিতে সস্তা মানের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়।’

জেপি ট্রেনিং সেন্টারের ভাইস প্রিন্সিপাল সাইমুনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসেট প্রজেক্টের কোন ধরনের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এমন প্রশ্নে তিনি শারিরিক অসুস্থতার কথা বলে অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন।
জেপি ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক জায়েদ নূর বলেন, এসেট প্রজেক্ট প্রশিক্ষণার্থীদের একেক সময় একেক ধরনের ভাতা এসেছে। ১ হাজার টাকাও এসেছে ২ হাজার টাকাও এসেছে। তিনি দাবি করে বলেন, অনেক লার্নারকে ২১০০ টাকাও দিয়েছি। এখানে চুরির সুযোগ নেই। যা বাজেট আসে তা-ই দিয়ে দিয়েছি। এসেসমেন্ট শেষে ২১০০ টাকা দিয়েছেন এমন অন্তত দুই-একজনের নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, দুই চারদিন সময় লাগবে। ভর্তির সময় অনেক লার্নার থেকে আপনারা টাকা নিয়ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই টাকা নেওয়ার সিস্টেম আছে। তিন দিনের প্রোগ্রাম অনেক সময় ৬/৭ দিনও করতে হয়। এজন্য এসব লার্নারদের লেভেল -৪ করা ট্রেইনার বেশি টাকা দিয়ে আনতে হয়। তাহলে আপনি বলেন, এদের টাকা কে দিবে? কক্সবাজারের অনেক প্রতিষ্ঠান এই প্রজেক্টগুলো পেয়েছিল, কিন্তু চালাতে পারেনি। খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, প্রতিজনের দৈনিক ২০০ টাকা করে বরাদ্দ আছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটা হলে পড়ে ১৭০ টাকা। এই টাকায় মুরগী, সবজি ভাত ডাল দিয়েছি। কক্সবাজারে এ দামে কি এসব খাবার পাওয়া যায়?

এসেট প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী- গত একবছরে ৮৪০ জনের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি মন্ত্রণালয় ভুল তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেন।
এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেপিটিটিসি’র চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা বলেন, ‘২০২৪ সালের শুরুতে ভাতা অনুযায়ী সকলকে ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালে এসে সকলকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তিন দিনের এসেসমেন্ট যারা খারাপ করে, তারা কিন্তু টাকা পায়না। ব্যাগ, সার্টিফিকেট, এপ্রোন এগুলো তাদের দেওয়া হয়।’
গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৮৪০ জনের বিল তুলেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১১ টা বিল জমা হয়েছে। কিন্তু কোন টাকা পায়নি। যে আপনাকে তথ্য দিয়েছে সে তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।’ আবারো জানতে চাওয়া হয়, তাহলে আপনি এসেট প্রজেক্ট থেকে কোন টাকা তোলেননি? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন তো মুখস্থ নেই। দেখে বলতে হবে। আপনি কষ্ট করে একটু অফিসে গেলে ভালো হয়। না হয় ম্যানেজার আপনার সাথে দেখা করবে।’
এসেট প্রজেক্টের উপ- প্রকল্প পরিচালক মো: সবুজ আলম দৈনিক কক্সবাজারকে বলেন, ‘আরপিএলে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তারা নিবন্ধনের জন্য ২০ জনকে প্রশিক্ষণের (এনএসডি) ব্যবস্থা করে। আমরা তাঁদেরকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বিল ভাউচার জমা করলে তারপর টাকা তুলতে পারে।
জেপির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত মার্চ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৮৪০ জনের টাকা জেপি বিল করে তুলে নিয়েছে। শুধু জেপি নয়, সব প্রতিষ্ঠান শর্ত অনুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্পের অনুকূলে অফিস ভাড়া, প্রশিক্ষণ সামগ্রী, জনপ্রতি মূল্যায়ন ফি, প্রশিক্ষক সম্মানী, ট্রেইনার, টিএডিএ, খাবারসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হয়। তাই ট্রেনিংয়ের বিষয়ে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এসেট প্রজেক্টের মীর জাহিদ হাসানের বরাত দিয়ে এসেট প্রজেক্টের মিডিয়া কনসালটেন্ট জিল্লুর রহমান  বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। যা, দেশের কিছু কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হচ্ছে এবং কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো কাজও করছে।’
তিনি বলেন, ‘জেপিটিটিসি’র অনিয়ম প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সরকার এসেট প্রকল্পের মাধ‍্যমে দেশের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে। যে কেউ এই সুযোগ গ্রহণ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।’  সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

উখিয়া-টেকনাফের তরুণদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আবদুল্লাহ

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের রাজনীতিতে দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ...

কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনেরপ্যারাসেলিং থেকে ছিটকে গিয়ে ঝাউগাছে ঝুলেছিলেন পর্যটক

কক্সবাজার সৈকতে রোমাঞ্চকর ‘প্যারাসেলিং’ নিয়ম না নেমে পরিচালিত হওয়ায় বারবার দুর্ঘটনার কারণে বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে। ...